বাউফল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. মহিউদ্দিন আহম্মেদ লাভলু জামিনে জেল থেকে বের হয়ে বাদী পরিবারের চারজন সদস্যসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ওই অভিযোগ করেন কেশবপুর বাজারে প্রকাশ্যে খুন হওয়া রকিব উদ্দিন রুমন তালুকদার ও ঈসাত তালুকদারের বড় বোন বাউফল দাশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকা জেবুন্নাহার অনি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর বাজারে জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু গত ফেব্রুয়ারী মাসের আট তারিখ উচ্চ আদালত কর্তৃক জামিনপ্রাপ্ত হয়ে জেল থেকে বের হয়ে নিজ এলাকা কেশবপুর গ্রামে না এসে পরের দিন হত্যা মামলার বাদী পরিবারের সদস্য অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু, মিন্টু, জেবুন্নাহার অনি ও জিয়াউদ্দিন সুজনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোকাম বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (বাউফল অঞ্চল) এ ১০৭/১০৪/১১৭ ধারায় একটি মামলা ( মামলা নং-৪৩/২০২১ইং) দায়ের করেন। যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট। হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজনকে ফাঁসানোর জন্যই ওই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী মহিউদ্দিন লাভলু গত ৮ ফেব্রুয়ারী আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ী ফেরেননি। তিনি পুলিশি প্রহরায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে গত ৪ মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার বাড়ী ফিরেছেন। যা এলাকাবাসী দেখেছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজস্ব আইডিতে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে গত ৪ মার্চ বাড়ী ফেরার বিষয়টি সবাইকে নিশ্চিত করেছেন। অথচ মামলায় গত ৮ ফেব্রয়ারী বাড়ী ফিরেছেন এবং তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। যা পুরোপুরি অসত্য ও বানোয়াট। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, গত বছরের ২রা আগষ্ট রোজ রোবিবার সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকুর ছোট ভাই রকিব উদ্দিন রুমন ও তাঁর চাচাতো ভাই ঈসাত তালুকদারকে কেশবপুর বাজারে কুপিয়ে হত্যা করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুর নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনায় পরের দিন নিহতদের বড় ভাই মফিজ উদ্দিন মিন্টু চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply